জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি | National Book Center Job Circular
National Book Center Jobs , National Book Center Jobs News
চাকরির বর্ণনাঃ
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রে বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে দরখাস্ত আহবান করা হয়েছে।
পদ সমুহঃ
নিচের বিজ্ঞাপনটি দেখুন
আবেদন করার প্রক্রিয়াঃ
আবেদনের শেষ তারিখ: ১০/১১/২০২০ ইং
বিস্তারিত এই বিজ্ঞপ্তি তে দেখুন, (বিজ্ঞপ্তিটি ডাউনলোড করতে নিচের ছবিতে ক্লিক করুন)
যেকোন দেশ, জাতি এবং তার মানবসম্পদ উন্নয়নের অপরিহার্য্য উপাদান হলো গ্রন্থ এবং তার ব্যবহার। মানুষের জ্ঞান ও অনুভূতির প্রকাশ ঘটে গ্রন্থে। গ্রন্থই বহন করে তার যুগসঞ্চিত অভিজ্ঞতা ও জীবনাদর্শ । তাই গ্রন্থের উন্নয়ন ও প্রসারকে সামনে রেখে ১৯৬০ সালে ইউনেস্কোর সার্বিক সহযোগিতায় তৎকালীন পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপন বলে ‘ন্যাশনাল বুক সেন্টার অব পাকিস্তান’ প্রতিষ্ঠিত হয়। যার একটি শাখা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকায় অবস্থিত ছিল। ১৯৭১ সালে গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতা লাভের পর প্রতিষ্ঠানটির নতুন নামকরণ করা হয় ‘জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র বাংলাদেশ’। ১৯৮৩ সালে এনাম কমিটির প্রতিবেদনে এই সংস্থাটিকে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা প্রদান করা হয়। ১৯৯৫ সালের ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ২৭নং আইন বলে ‘জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র’ আইন প্রণয়ন করা হয় এবং প্রতিষ্ঠানটির নতুন নামকরণ করা হয় ‘জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র’। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব মহোদয়ের সভাপতিত্বে ১৭ (সতের) সদস্যবিশিষ্ট একটি পরিচালনা বোর্ড প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা বিষয়ক নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন। প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক নির্বাহী হিসাবে দায়িত্বে থাকেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন পরিচালক।
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
১. জ্ঞান ও মননশীলতার উৎকর্ষ সাধনে গ্রন্থ ও তার সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকান্ডকে তরান্বিত করা;
২. সাহিত্যমনস্ক ও জ্ঞানসমৃদ্ধ জাতি ও সমাজ গঠন করা;
৩. দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বেসরকারীভাবে গ্রন্থাগার স্থাপনে জনসাধারনকে উৎসাহিত ও উদ্বুদ্ধ করা;
৪. বেসরকারী গ্রন্থাগারের প্রচার ও প্রসার বৃদ্ধি করা;
৫. লেখক, কবি ও সাহিত্যিককে তার সৃষ্টিশীলতার বিকাশ ও প্রসার ঘটাতে উদ্বুদ্ধ করা;
৬. পুস্তক বা গ্রন্থ প্রকাশনা শিল্পকে উৎসাহিত ও লাভজনক শিল্পে পরিণত করা;
৭. পুস্তক বা গ্রন্থের প্রকাশ, প্রকাশনা বৃদ্ধি তরান্বিত করা;
৮. বইমেলাকে দেশ ও দেশের বাইরে সর্বস্তরের জনসাধারনের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া;
৯. সর্বসাধারনের মধ্যে লেখক, কবি, সাহিত্যিক ও তাদের প্রকাশিত পুস্তক বা গ্রন্থের পরিচিতি বাড়ানো;
১০. জনসাধারনকে গ্রন্থ পাঠে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করা।